রবিবার, ১১ মে ২০২৫, ০৪:২৯ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনামঃ
চাঁপাইনবাবগঞ্জে রক্তদাতাদের বার্ষিক মিলনমেলা ও কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন অঙ্গন পাঠান চাঁপাইনবাবগঞ্জে খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া ও ইফতার মাহফিল তানোরে মাদক ও বাল্যবিবাহ বিষয়ক সচেতনতামূলক আলোচনা সভা খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় চাঁপাইনবাবগঞ্জে দোয়া ও ইফতার মাহফিল চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা রিপোর্টার্স ক্লাবের উদ্যোগে অসহায়দের মাঝে ইফতার বিতরণ গভীর রাতে পুড়ে ছাই আড়াইশ হাঁশ-মুরগিসহ দোকান চাঁপাইনবাবগঞ্জ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে দোয়া ও ইফতার মাহফিল প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ তানোরে কারিগরি দক্ষতা বৃদ্ধি প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

রাজশাহীতে মশা নিধনের ওষুধ সংকট

প্রথম পাতা
প্রকাশিতঃ রবিবার, ১১ মে ২০২৫, ০৪:২৯ পূর্বাহ্ন

রাজশাহীতে চলছে ডেঙ্গুর ভরা মৌসুম। প্রতিদিনই বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। দীর্ঘ হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল। তবে এই সংকট সময়েও মশক নিধনে কার্যক্রমে গা-ছাড়া ভাব সিটি করপোরেশনের।

মশক নিধনের পর্যাপ্ত ওষুধ না থাকায় থমকে আছে কার্যক্রম।

সিটি করপোরেশনের তথ্যমতে, নগরীতে ছোট-বড় মিলে প্রায় ৪৫০ কিলোমিটার ড্রেন আছে। এসব ড্রেন ও তার আশপাশের এলাকায় ব্যবহার করা হয় লার্ভিসাইড ও অ্যাডাল্টি সাইড নামের মশা নিধনের দুই ধরনের ওষুধ। গত বছরের ২ ফেব্রুয়ারি রাসিকের কাছে সরবরাহ করা হয় ১ হাজার লিটার লার্ভিসাইড ও ৬০০ লিটার অ্যাডাল্টি সাইড।

সেই ওষুধের বর্তমানে মজুত আছে ১০০ লিটার লার্ভিসাইড ও ২০০ লিটার অ্যাডাল্টি সাইড। রাসিকের পরিচ্ছন্ন বিভাগ জানায়, প্রতি বছর ৫৪ লাখ ৮০ হাজার টাকার লার্ভিসাইড ও ১৮ লাখ ৪৮ হাজার টাকার অ্যাডাল্টি সাইড কিনতে হয় রাসিককে। এসব প্রয়োগ ও কেরোসিন ডিজেল মিলে গড়ে প্রতি বছর মশা মারতেই রাসিকের খরচ হয় কোটি টাকা। এদিকে রাজশাহীতে প্রতিদিনই বাড়ছে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা।
ডেঙ্গু রোগীর চাপও বেড়েছে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের তথ্যমতে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ২ হাজার ৮৯৪ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২৪০ জন। শুধু রামেক হাসপাতালেই ভর্তি আছেন ৭০ জন। এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
তার মধ্যে ২ জনই রামেক হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য উপপরিচালক ডা. হাবিবুর রহমান বলেন, গত বছরের চেয়ে এবার মশার উপস্থিতি বেশি পাওয়া গেছে। স্থানীয়ভাবে পরীক্ষার মাধ্যমে ডেঙ্গুর লার্ভাও পাওয়া গেছে। এ বছর অন্য বছরের চেয়ে রোগীর সংখ্যা বেশি।রাজশাহী সিটি করপোরেশনের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শেখ মো. মামুন বলেন, ‘আমাদের চাহিদামতো ওষুধ নাই। মাত্র সাত দিন অ্যাডাল্টি সাইড প্রয়োগ করতে পারব। এ জন্য এবার ওষুধ প্রয়োগ করতে পারিনি। সামনে ব্রিডিং মৌসুমে এটি প্রয়োগ করা হবে। লার্ভিসাইড আমরা প্রয়োগ করছি। এটিও ডিসেম্বর পর্যন্ত চালাতে পারব। এরপর নেই ওষুধ। ’

 

বিডিদিন/জা/০৯

 


আরো পড়ুন

মন্তব্য