মুদ্রণের সময়ঃ ফেব্রুয়ারী ৫, ২০২৫, ২:৪৬ পি.এম || প্রকাশের সময়ঃ ডিসেম্বর ১৩, ২০২৪, ৬:৪৪ পি.এম
রাজশাহীতে মশা নিধনের ওষুধ সংকট
রাজশাহীতে চলছে ডেঙ্গুর ভরা মৌসুম। প্রতিদিনই বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। দীর্ঘ হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল। তবে এই সংকট সময়েও মশক নিধনে কার্যক্রমে গা-ছাড়া ভাব সিটি করপোরেশনের।
মশক নিধনের পর্যাপ্ত ওষুধ না থাকায় থমকে আছে কার্যক্রম।
সিটি করপোরেশনের তথ্যমতে, নগরীতে ছোট-বড় মিলে প্রায় ৪৫০ কিলোমিটার ড্রেন আছে। এসব ড্রেন ও তার আশপাশের এলাকায় ব্যবহার করা হয় লার্ভিসাইড ও অ্যাডাল্টি সাইড নামের মশা নিধনের দুই ধরনের ওষুধ। গত বছরের ২ ফেব্রুয়ারি রাসিকের কাছে সরবরাহ করা হয় ১ হাজার লিটার লার্ভিসাইড ও ৬০০ লিটার অ্যাডাল্টি সাইড।
সেই ওষুধের বর্তমানে মজুত আছে ১০০ লিটার লার্ভিসাইড ও ২০০ লিটার অ্যাডাল্টি সাইড। রাসিকের পরিচ্ছন্ন বিভাগ জানায়, প্রতি বছর ৫৪ লাখ ৮০ হাজার টাকার লার্ভিসাইড ও ১৮ লাখ ৪৮ হাজার টাকার অ্যাডাল্টি সাইড কিনতে হয় রাসিককে। এসব প্রয়োগ ও কেরোসিন ডিজেল মিলে গড়ে প্রতি বছর মশা মারতেই রাসিকের খরচ হয় কোটি টাকা। এদিকে রাজশাহীতে প্রতিদিনই বাড়ছে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা।
ডেঙ্গু রোগীর চাপও বেড়েছে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের তথ্যমতে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ২ হাজার ৮৯৪ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২৪০ জন। শুধু রামেক হাসপাতালেই ভর্তি আছেন ৭০ জন। এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
তার মধ্যে ২ জনই রামেক হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য উপপরিচালক ডা. হাবিবুর রহমান বলেন, গত বছরের চেয়ে এবার মশার উপস্থিতি বেশি পাওয়া গেছে। স্থানীয়ভাবে পরীক্ষার মাধ্যমে ডেঙ্গুর লার্ভাও পাওয়া গেছে। এ বছর অন্য বছরের চেয়ে রোগীর সংখ্যা বেশি।রাজশাহী সিটি করপোরেশনের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শেখ মো. মামুন বলেন, ‘আমাদের চাহিদামতো ওষুধ নাই। মাত্র সাত দিন অ্যাডাল্টি সাইড প্রয়োগ করতে পারব। এ জন্য এবার ওষুধ প্রয়োগ করতে পারিনি। সামনে ব্রিডিং মৌসুমে এটি প্রয়োগ করা হবে। লার্ভিসাইড আমরা প্রয়োগ করছি। এটিও ডিসেম্বর পর্যন্ত চালাতে পারব। এরপর নেই ওষুধ। ’
বিডিদিন/জা/০৯
© ২০২৪ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | দৈনিক প্রথমপাতা