বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৫:৫২ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনামঃ

দুর্নীতির অপরাধে রাজশাহীর এসপি নিহার রঞ্জনকে শাস্তি দিলো সরকার

প্রথম পাতা
প্রকাশিতঃ বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৫:৫২ অপরাহ্ন

অসদাচরণ ও দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় রাজশাহী রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে সংযুক্ত পুলিশ সুপার নিহার রঞ্জন হাওলাদারকে শাস্তি দিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। শাস্তি হিসেবে তাকে আগামী এক বছরের জন্য বেতন গ্রেডের নিম্নতর ধাপে ‘অবনমিতকরণ’-এর দণ্ড দেওয়া হয়েছে।

বুধবার এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করে এ তথ্য জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এতে সই করেছেন মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা শাখার সিনিয়র সচিব আবদুল মোমেন।

 

আরোও পড়ুন:

“বাতীর নিচে অন্ধকার”, যার জীবন্ত উদাহরন রাজশাহী এডভোকেট বার এসোসিয়েশন

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, নিহার রঞ্জন হাওলাদার ঢাকায় সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার হিসেবে কর্মরত থাকাকালে ২০১৮ সালে মার্চে অভিযোগকারী মো. আ. রহিম গংকে পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় অবস্থিত বেদখলীয় জমি দখল করে দেবেন বলে জানান। সেই অনুসারে তার নিজ বাসার গৃহশিক্ষকের উপস্থিতিতে অভিযোগকারী ও অভিযোগকারীর ছেলে মো. আমিনুল ইসলামের কাছ থেকে পাঁচ লাখ টাকা এবং ১০ শতাংশ জমি তার অনুকূলে হস্তান্তরের দাবি করেন।

পরবর্তী সময়ে ২০১৮ সালের ২১ মার্চ সোনালী ব্যাংক কোর্ট বিল্ডিং শাখা, বরগুনায় অভিযোগকারীর নগদ জমা করা তিন লাখ টাকা এবং ৪ এপ্রিল ওই ব্যাংক হিসাবে দুই লাখ টাকা প্রতারণামূলকভাবে গ্রহণ করে আত্মসাৎ করেন। ২০১৮ সালের ২২ মার্চ কুয়াকাটার একটি হোটেলে মহিপুর থানার ওসি মো. মিজানুর রহমানকে ডেকে নিয়ে অভিযোগকারীর পক্ষে বেদখলীয় জমি দখল করে দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করেন।

এছাড়া, বরগুনায় গিয়ে অভিযোগকারীসহ অন্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে খাবার গ্রহণ করার অভিযোগে ২০২৩ সালের ৫ নভেম্বর তার বিরুদ্ধে ০০৮/২০২৩ নং বিভাগীয় মামলা করে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। 

প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, যেহেতু তিনি সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর বিধি অনুযায়ী লিখিত বক্তব্য/জবাব দাখিলের জন্য সময় বৃদ্ধিরও কোনো আবেদন করেননি, তাই ২০২৪ সালের ১ এপ্রিল সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮ এর ৭(২)(ঘ) বিধি মোতাবেক কুসুম দেওয়ান ডিআইজি, সিআইডি, ঢাকাকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত বোর্ড গঠন করা হয়।

এতে আরও বলা হয়েছে, যেহেতু তিন সদস্য বিশিষ্ট গঠিত তদন্ত বোর্ড সরেজমিনে তদন্ত করে ২০২৪ সালের ২৫ জুলাই ৬১৯ নং স্মারকমূলে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। যেখানে তার বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮ বিধিমালার ৩(খ) ও ৩ (ঘ) বিধি অনুসারে যথাক্রমে অসদাচরণ’ ও দুর্নীতি পরায়ণতার অভিযোগ প্রমাণ হয়েছে মর্মে উল্লেখ করা হয়েছে।

 

পরবর্তী সময়ে তাকে ২০২৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। তিনি দ্বিতীয় কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব দাখিল করেন। সেহেতু নিহার রঞ্জন হাওলাদার পুলিশ সুপার, রাজশাহী রেঞ্জ ডিআইজি অফিসে সংযুক্ত থাকার আগে বিশেষ পুলিশ সুপার, সিআইডি, ঢাকার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ, দ্বিতীয় কারণ দর্শানোর জবাব, তদন্ত প্রতিবেদন এবং অন্যান্য দলিলপত্রাদি পর্যালোচনায় তার বিরুদ্ধে আনা অসদাচরণ ও দুর্নীতি পরায়ণতার অভিযোগ প্রমাণ হয়। এতে করে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর ৪(২) এর উপ-বিধি (১) (ঘ) অনুযায়ী তাকে আগামী এক বছরের জন্য বেতন গ্রেডের নিম্নতর ধাপে অবনমিতকরণের দণ্ড দেওয়া হলো। ভবিষ্যতে এ বেতন সমন্বয় করা হবে না।

জারি করা এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।
বিডিদিন/জা/০৯


আরো পড়ুন

মন্তব্য