রাজশাহী জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) এক উপ-পরিদর্শকের (এসআই) বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে। বুধবার দুপুরে রাজশাহী প্রেস ক্লাবে মুরাদ হোসেন নামের এক এনজিওকর্মী সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন। অভিযুক্ত এসআইয়ের নাম আবদুর রহিম।
মুরাদ হোসেন জেলার দুর্গাপুর উপজেলার পুরান তাহিরপুর গ্রামের সাহেব আলীর ছেলে।
সংবাদ সম্মেলনে মুরাদ বলেন, তুলে নেওয়ার পর মাদক মামলায় ফাঁসানোর ভয় দেখিয়ে এসআই রহিম তার কাছ থেকে ২ লাখ ৪৬ হাজার টাকা আদায় করেছেন। গত ২৮ জুলাই বিকালে দুর্গাপুরের মোহনগঞ্জ বাজার থেকে তাকে তুলে নেওয়া হয়। সাদা পোশাকে এসআই রহিমসহ মোট ছয়জন ছিলেন। তুলে নিয়ে তাকে এলাকার একটি নির্জন পুকুরপাড়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
মুরাদ বলেন, রহিম প্রথমে আমার কাছে ৬ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। টাকা না দিলে আমাকে মাদক মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দেন তিনি। বাঁচার জন্য আমি আমার বাবাকে ফোন করি। তিনি দুই লাখ ৪৬ হাজার টাকা এনে এসআই রহিমকে দেন। এরপর আমি দুই দফা জেলা পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ করেও প্রতিকার পাইনি।
তিনি বলেন, লিখিত অভিযোগ করার কারণে এসআই রহিম এখন আবার আমাকে মাদকের মামলায় ফাঁসানোর পরিকল্পনা করছেন। পাশাপাশি আমাকে সামাজিকভাবে হেয় করার চেষ্টা করছেন।
সংবাদ সম্মেলন থেকে এসআই আবদুর রহিমসহ তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন মুরাদ হোসেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে অভিযুক্ত এসআই আবদুর রহিম বলেন, মুরাদ আমার নামে অনেক জায়গায় অভিযোগ দিয়েছেন। তদন্ত চলমান রয়েছে। তদন্ত হলে সত্য মিথ্যা জানতে পারবেন।
রাজশাহীর পুলিশ সুপার (এসপি) ফারজানা ইসলাম বলেন, তদন্তসাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
যআন্তর/জা/০২