বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:০৩ অপরাহ্ন

শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে বহিস্কার করা হলো রাবি’র চার ছাত্রলীগ নেতাকে 

নাবিল শাহরিয়ার
প্রকাশিতঃ বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:০৩ অপরাহ্ন

রাবি সংবাদদাতাঃ রাবিতে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনার ৩ দিন পরেই সংগঠনের শৃঙ্খলা ও মর্যাদা পরিপন্থী কার্যকলাপে লিপ্ত হওয়ার অভিযোগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রলীগের চার নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৪ মে)  দিবাগত রাত সোয়া এগারোটার দিকে ছাত্রলীগের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের দপ্তর সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম পান্থ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী বহিষ্কৃতরা হলেন- রাবি শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি শাহিনুল সরকার ডন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নিয়াজ মোর্শেদ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান অপু ও সাংগঠনিক সম্পাদক কাবিরুজ্জামান রুহুল।

তাদের বিরুদ্ধে কেন পরবর্তী সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তার লিখিত জবাব আগামী সাত দিনের মধ্যে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের দপ্তর সেলে জমা দেয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।

এ বিষয়ে রাবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিব বলেন, “সংগঠন পরিপন্থী কাজ ও বিশৃঙ্খলার দায়ে রাবি শাখা ছাত্রলীগের চার নেতাকে বহিষ্কার করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। সংঘর্ষের ঘটনার পর আমরা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগকে এ বিষয়ে অবহিত করেছিলাম, তারা তদন্ত করে আজ চারজনকে বহিষ্কারের আদেশ দিয়েছে। ছাত্রলীগের কোনো নেতাকর্মী অন্যায় করে পার পায়না। সংগঠন পরিপন্থী কাজ করলে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ তৎক্ষনাৎ সিদ্ধান্ত নেয় সেটি আবারও প্রমাণিত করলেন বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক। তাদের সিদ্ধান্তকে আমরা সাধুবাদ জানাই।”

তবে এ ব্যাপারে বহিষ্কৃত নেতা আশিকুর রহমান বলেন, গত কয়েকদিনের সংঘর্ষে আমার কোনও সম্পৃক্ততা ছিল না। কোনও তদন্ত ছাড়া এভাবে বহিষ্কার সম্পর্কে আমার জানা নেই। তাছাড়া এ ঘটনায় আমার কক্ষে সন্ত্রাসী কায়দায় ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, এই বহিষ্কারাদেশ অযৌক্তিক বলেছেন অন্য নেতারাও

এর আগে,শনিবার (১১ মে) রাত ১১টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ ঘটে। এ সময় একাধিক ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এক পক্ষ অবস্থান নেয় সোহরাওয়ার্দী হলে, অন্য পক্ষ মাদার বখ্শ হলের দিকে অবস্থান নিয়ে এ হামলা চালায়।

সংঘর্ষে এক পক্ষে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবু, সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লাহ-হিল-গালিব এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তাদের সমর্থক এবং অন্য পক্ষে ছিলেন সোহরাওয়ার্দী হলের সভাপতি নিয়াজ মোর্শেদ ও তার সমর্থক।

রাবি শাখা ছাত্রলীগ ও শিক্ষার্থীদের দেওয়া তথ্যমতে, হলে কর্তৃত্ব বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই পক্ষে উত্তেজনা বিরাজ করছে। যেখানে এক পক্ষে রয়েছেন নতুন কমিটির নেতারা, অন্য পক্ষে পদবঞ্চিতরা

এর দুইদিন পরে এক নেতাকে ‘হত্যার’ হুমকি দেওয়ার অভিযোগে সোমবার (১৩ মে) রাতে নিয়াজ মোর্শেদের বিপরীত পক্ষের মধ্যে আবারও উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এ সময় তারা দেশি অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেয়। পরে কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন।


আরো পড়ুন

মন্তব্য