রাবি প্রতিনিধি:
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (১১ মে) রাত দশটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের গেস্টরুমে বসাকে কেন্দ্র করে এ ঘটনার সূত্রপাত হয়। এরপর মধ্যরাত পর্যন্ত দু’পক্ষের সংঘর্ষ চলে। এসময় কাচের বোতল ও ইট-পাটকেল নিক্ষেপ এবং ৭টি ককটেলও ফুটেছে। খোজ নিয়ে জানা যায় এঘটনায় ৩ জন আহত হয়েছে।
সংঘর্ষের একপক্ষে রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি নিয়াজ মোর্শেদের নেতাকর্মীরা ও অন্য পক্ষে রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুর অনুসারীরা।
খোজ নিয়ে জানা যায়, আজ রাত ১১ টায় রাবির হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের গেস্টরুমে রাজনৈতিক আলোচনা করার জন্য আসেন হল শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আতিকুল ইসলাম আতিক। এসময় তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নিয়াজ মোর্শেদের কয়েকজন অনুসারীর সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এর একপর্যায়ে আতিক ও নিয়াজ মাঝে বাকবিতন্ডা সৃষ্টি হয়। এরপরে নিয়াজ মোর্শেদ তার নেতাকর্মীদের নিয়ে হলের ভিতরে একত্রিত হয়। এবং আতিক তার নেতাকর্মী নিয়ে হল গেটে অবস্থান নেন। এসময় আতিকের পক্ষে যোগ দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবু ও সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল গালিবের অনুসারীরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, রাত পৌনে ১২ টার দিকে আতিক ও শাখা ছাত্রলীগের শীর্ষ দুই নেতার অনুসারীরা হল গেটে অবস্থান নিয়ে ‘বাবু-গালিব পরিষদ, সবার সেরা পরিষদ’,’এ্যাকশন এ্যাকশন, ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট এ্যাকশন’সহ নানা বাক্যে মিছিল দিচ্ছিল। মিছিল চলাকালীন নিয়াজ মোর্শেদের নেতাকর্মীরা তাদের ধাওয়া করেন এবং হলের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলার ছাদে অবস্থান নেন। এসময় তারা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করেন। এর কিছুক্ষণ পরে তারা হল থেকে বের হয়ে হল গেট পর্যন্ত ধাওয়া করেন এবং গেটে থাকা মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেন। এরপরে রাত সোয়া ১২টায় আতিক ও শাখা ছাত্রলীগ শীর্ষ দুই নেতার অনুসারীরা পাল্টা ধাওয়া করেন এবং ইট-পাটকেল, কাচের বোতল ও ককটেল নিক্ষেপ করেন। এসময় মোট সাতটি ককটেল ফোটার আওয়াজ পাওয়া যায়। এরপরে রাত সোয়া ১ টায় ঘটনাস্থলে হল প্রাধ্যক্ষ, প্রক্টর ও পুলিশ আসলে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনাস্থলে আছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছি।’