মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৩:০৫ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনামঃ
বেহাল সড়কে প্রতিদিন দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দা ও যাত্রীরা,দ্রুত সংস্কারের দাবি বোয়ালিয়ায় র‍্যাবের অভিযানে উদ্ধার গোপন অস্ত্র, ছাত্র আন্দোলনের সম্পৃক্ততা সন্দেহ তানোরে ফার্মেসির আড়ালে ট্যাপেন্টাডল বিক্রি, র‌্যাবের অভিযানে আটক ৫ মুন্ডুমালায় যুব ফোরাম গঠন বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত “১০ কেজি গাঁজা সহ ধরা ‘গাঁজা মেম্বার’ এখন দখলবাজ — সত্যি ফাঁসের ভয়ে সাংবাদিককে অপবাদ!” চাঁপাইনবাবগঞ্জের বারঘরিয়ায় সাবেক মেম্বারের দখলদারিত্ব ও অবৈধ কর্মকাণ্ডে আতঙ্কে এলাকাবাসী, প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ নাচোলে নিরাপদ পানি ও স্বাস্থ্যবিধি বিষয়ক সচেতনতা সভা অনুষ্ঠিত নবাবগঞ্জ সিটি কলেজে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় সংবর্ধনা ও দোয়া অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত ক্রীড়া ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখায় ক্রীড়া সংগঠক সিরাজুলকে সম্মাননা স্মারক প্রদান চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরে নতুন ইউএনও মো. নুরুল ইসলাম 

রাবির আইবিএ-তে ভর্তি পরীক্ষা না দিয়েই কোটায় ভর্তির সুযোগ!

প্রথম পাতা
প্রকাশিতঃ মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৩:০৫ অপরাহ্ন

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতা করার সময় পোষ্য কোটার খারাপ দিকের অনেক চিত্র নজরে এসেছিল। তার একটি হলো, বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারের একজন চিকিৎসকের (যিনি রাজশাহীতে আওয়ামী লীগের পদধারী) ছেলে আইবিএতে ভর্তি হয়েছিল সেই ইনস্টিটিউটে ভর্তি পরীক্ষা না দিয়েই।

ওই প্রতিবেদন করার জন্য ওই চিকিৎসককে ফোন দিয়ে বক্তব্য নিই। এরপর আমার ফোনে রাজশাহী শহর ও ক্যাম্পাসের একাধিক সাংবাদিক আমায় ফোন করে প্রতিবেদনটি না করার জন্য বলেন। কিন্তু আমি শেষ পর্যন্ত প্রতিবেদনটি করেছিলাম। তবে তৎকালীন আইবিএসের পরিচালক বা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেয়নি।

সেই ছাত্র বাবার ক্ষমতায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা ইনস্টিটিউটে ভর্তি পরীক্ষা না দিয়েই ছাত্র হয়েছিল। হয়তো ছাত্রত্ব শেষ করে সে বেরিয়েও গেছে।

একবার ভাবুন তো, আইবিএতে ভর্তি পরীক্ষায় মেধায় থাকা শিক্ষার্থীরা কী পরিমাণ পরিশ্রম ও অধ্যবসায়ের পর কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পেরেছিলেন। কিন্তু আরেকজন বাবার কোটায় কোনো যোগ্যতা না থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়। মেধায় চান্স পাওয়া শিক্ষার্থীদের সঙ্গে চিকিৎসকের ওই ছেলে যখন একই ক্লাসরুমে বসে ক্লাস করেছে, তখন মেধাবীদের জন্য বিষয়টি কতটা লজ্জার হতে পারে, ভাবুন তো?

কোটার বিরুদ্ধে আন্দোলনের পর ২০২৪ সালের আগস্টে সরকার পতন হয়েছে। সেই স্পিরিট নিয়েই বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসন নিয়োগ হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নতুন পোষ্য কোটা তুলে দিতে দাবি উঠেছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিষয়টি ভেবে দেখা দরকার। একই সঙ্গে পোষ্য কোটার নামে অনিয়ম করে যারা ভর্তির সুযোগ পেয়েছে, বিষয়টি এখন তদন্ত করে দেখা হোক। প্রমাণ সাপেক্ষে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।

সবশেষে একটা কথাই বলি, ২০২৪ সালে এসেও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য পোষ্য কোটা লাগে। এর চেয়ে লজ্জার আর কিছু হতে পারে না।

১৬ নভেম্বর, ২০২৪
জাকির হোসেন তমাল
সাবেক ছাত্র, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

Source: ru_insiders


আরো পড়ুন

মন্তব্য