মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫, ১২:৪৩ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনামঃ
রাজশাহীতে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এর জন্মবার্ষিকীতে দোয়া মাহফিল Reel Hit Video slot On line Free No Obtain মোহনপুরে তারুণ্যের উৎসব উপলক্ষে স্হানীয় শিল্প,পণ্য প্রদর্শনী,পিঠা উৎসব ও কর্মশালা অনুষ্ঠিত সারাদেশে সাংবাদিকদের নামে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন Tomb Raider dos Pokies Online because of the Microgaming Play Totally free Slot রাজশাহীতে তারুণ্যের উৎসবে ২০২৫ ক্রীড়া প্রতিযোগিতা উদ্বোধন রাজশাহীতে শীতার্ত দু:স্থ অসহায় মানুষদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ চাঁপাইনবাবগঞ্জ পলিটেকনিকে বিদায় সংবর্ধনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত মোহনপুরে সরকারি ডিগ্রি কলেজে নবীন বরণ বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চাঁপাইনবাবগঞ্জ টাউন ক্লাবের আয়োজনে শীত বস্ত্র বিতরণ

রাজশাহী জুট মিল পুনরায় চালুর দাবি

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশিতঃ মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫, ১২:৪৩ পূর্বাহ্ন

সরকার ২০২০ সালে সরকারী মালিকানাধীন রাজশাহী জুট মিল বন্ধ করার পরে তাদের চাকরি হারানো শ্রমিকরা রবিবার রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় পাটকলগুলি অবিলম্বে পুনরায় চালু করার দাবিতে বিক্ষোভ করেছে।

রাজশাহী জুট মিল কর্মচারী-শ্রমিক ইউনিয়নের ব্যানারে দুই শতাধিক পাটকলের সামনে বিক্ষোভ মিছিল বের করে রাজশাহীর পবা উপজেলার কাটাখালী বাজার এলাকায় বিক্ষোভ সমাবেশে যোগ দেন।

বছরের পর বছর বিপুল পরিমাণ লোকসানের কারণে ১লা জুলাই, ২০২০-এ সরকার অন্যান্য ২৪ টি রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলের সাথে রাজশাহী জুট মিল বন্ধ করে দেয়।

যখন পাটকল বন্ধ হয়ে যায়, তখন মোট ১,৭০০ জন শ্রমিক রাজশাহী জুট মিলে কাজ করতেন, যা ১৯৬৯  সালে ৪৯.২ একর জমিতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।

সমাবেশে বক্তৃতাকালে রাজশাহী পাটকল কর্মচারী-শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক শামীম হোসেন বলেন, রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলো যখন বন্ধ হয়ে যায়, তখন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব ব্যবস্থার আওতায় পাটকলগুলো পুনরায় চালু করার আশ্বাস দেন। পরের ছয় মাস।

 

 

‘এর পর থেকে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব ব্যবস্থার অধীনে মাত্র তিনটি পাটকল পুনরায় চালু করা হয়েছে। কিন্তু তারা চলছে না,’  তিনি বলেন, রাজশাহী জুট মিলকে রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় পুনরায় চালু করতে হবে কারণ শ্রমিকরা কোনো কাজ না করে দুর্বিষহ জীবন পার করছেন।

শামীম হোসেন আরও বলেন, ২০২০ সালের ১ জুলাই রাজশাহী জুট মিল বন্ধ ঘোষণা করা হলেও অলস বসে থাকা সত্ত্বেও মোট ৫০ জন কর্মকর্তা ও ১৫০ জন কর্মচারী সরকারের কাছ থেকে বেতন নিচ্ছেন।

তিনি বলেছিলেন, ‘মিলগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর আর্থিক সংকটে অনেক বেকার শ্রমিক বিনা চিকিৎসায় মারা গেছে। এ অবস্থা চলতে পারে না। আমরা কঠোর পরিশ্রম করে বেতন পেতে চাই’ ।

ইউনিয়নের সভাপতি জিল্লুর রহমান বলেন, মিল কর্তৃপক্ষ অনেক মৃত শ্রমিকের পাওনা পরিশোধ করেনি এবং যারা অন্য পাটকলে স্থানান্তরিত হয়েছে তাদের।

তিনি বলেন, রাজশাহী জুট মিল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কাজ না থাকায় প্রায় এক হাজার ৭০০ শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছেন।

‘আমরা বাড়ি-গাড়ি চাই না। আমরা কাজের পরিবেশ চাই। আমরা কাজ করে অর্থ উপার্জন করতে চাই। বন্ধ হয়ে যাওয়া পাটকলগুলো যদি শীঘ্রই রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় চালু করা না হয়, তাহলে আমরা ২৫টি বন্ধ পাটকলের শ্রমিকদের সঙ্গে বসব এবং একসঙ্গে কঠোর আন্দোলনে যাব,’ বলেন তিনি।

জিল্লুর রহমান বলেন, তারা তাদের দাবিতে আমরণ অনশন করতে প্রস্তুত কিন্তু রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ধ্বংস হতে দেবেন না।

সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ইউনিয়নের কোষাধ্যক্ষ মুস্তাফিজুর রহমান ও সাবেক কোষাধ্যক্ষ ফরমান আলী।

সূত্রঃ নিউএজ বিডি 


আরো পড়ুন

মন্তব্য