উন্নয়ন-সংস্কার কাজের মধ্যেই দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে রাজশাহীর শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানা। কিন্তু চিড়িয়াখানায় আগের সেই জৌলুস এখনো ফেরে নি। এতে দর্শনার্থী সমাগমও এখনো আশানরূপ নয়। এরমধ্যেই চিড়িয়াখানার বাইরে অস্থায়ী পার্কিংয়ে মোটর সাইকেল রাখতে গুণতে হচ্ছে ১০০ টাকা! নিয়ে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করছেন দর্শনাথীরা।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে চিড়িয়াখানা সংস্কার কাজ করা হলেও স্থায়ী কোন পার্কিং সুবিধা নেই। চিড়িয়াখানার প্রধান ফটকের সামনের খোলা জায়গাকে পার্কিং হিসেবে ব্যবহার করছে রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক)। যা দৃশ্যত চিড়িয়াখানার প্রধান ফটকের সৌন্দর্যকে ক্ষুন্ন করছে। এরমধ্যেই সিটি করপোরেশন রশিদে মোটর সাইকেল পার্কিঙের জন্য নেয়া হচ্ছে ১০০ টাক!
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, উন্নয়ন ও সংস্কার কাজের মধ্যেই ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে চিড়িয়াখানা দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। এরপরই মোটর সাইকেলে নতুন পার্কিং খরচ নির্ধারণ করে কর্তৃপক্ষ। যেখানে ২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে মোটর সাইকেলের পার্কিং ফি নির্ধারণ করা হয় ১০০ টাকা।
দর্শনার্থী ইয়াসিন আরাফাত বলেন, পার্কের প্রবেশ মূল্য ২৫ টাকা। আর বাইক রাখতে গুনতে হলো ১০০ টাকা! এতো ঘোড়ার চেয়ে ঘোড়ার লাগামের দাম বেশি হওয়ার মতো। দেশের অনেক স্থানেই ঘুরেছি। কোথাও এমন অস্বাভাবিক পার্কিং খরচ দেখি নি।
আরেক দর্শনার্থী আব্দুর রহমান বলেন, বন্ধুদের সঙ্গে বাইক নিয়ে ঘুরতে এসেছিলাম। অনেকে দেখছি, রাস্তার পাশেই গাড়ি রেখে ভেতরে প্রবেশ করছে। সেফটি চিন্তা করে রাসিকের পার্কিং ব্যবহার করতে এসে চোখ কপালে উঠেছে। এরআগে পার্কিং করতে গিয়ে এতো টাকা কখনোই খরচ করি নি।
এ বিষয়ে চিড়িয়াখানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও রাসিক এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট (সিনিয়র সহকারী সচিব) সাদিয়া আফরিন জানান, দর্শনার্থীদের ক্ষোভের বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। আমরা একটি নতুন মূল্য নির্ধারণ করবো।
উল্লেখ্য, সংস্কার কাজের জন্য রাজশাহী ঐতিহ্যবাহী এই চিড়িয়াখানার অধিকাংশ প্রাণি উন্মুক্ত ও সংশ্লিষ্ট অন্য প্রতিষ্ঠানকে সরবরাহ করা হয়েছে। এখন হরিণ, ঘড়িয়াল ও হাতে গোনা কিছু পাখি রয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। তবে খুব দ্রুতই সংষ্কার কাজ শেষে সমৃদ্ধ একটি চিড়িয়াখানায় রুপ দেয়া হবে হলে জানায় কর্তৃপক্ষ।