নিজস্ব প্রতিবেদন, রাজশাহী কোর্টে এডভোকেট বার এসোসিয়েশনের সেক্রেটারী জমসেদ মজুমদার এর নেতৃত্বে কোর্টে চলছে সকল নিয়ম বর্হিভূত কর্মকাণ্ড।
সম্প্রতী এক অভিযোগ অনুসারে, বার এসোসিয়েশনের কিছু সদস্য কোর্টে বিচারবহির্ভূত কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়েছেন, যা সাধারণ মানুষের বিচার পাওয়ার অধিকারকে ক্ষুণ্ণ করছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মিথ্যা মামলার এজহার বিনা তদন্তে থানাতে পৌছানোর (কেস এন্ট্রি) পূর্বেই, তথাকথিত আসামীদের ধরে বারের নিজ কক্ষে নিয়ে গিয়ে আটকে রেখে নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে ।
ভুক্তভোগী একজন আসামী জানান, মামলার এজহার থানায় পৌছানোর পরে তাদেরকে ধরে পুলিশে দেওয়ার এবং ছাত্র আন্দোলনে শহরের হত্যা মামলা গুলোর ভেতর নাম দেওয়ার হুমকি দিয়ে জোরপূর্বক স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর সহ নানরকম বিচারবহির্ভূত কর্মকান্ডের করেন সেক্রেটারি জমসেদ ও তার সহযোগীরা ।
স্ট্যাম্পে উল্লেখিত, অধ্যক্ষ মিজানের বিরুদ্ধে করা মামলা চলমান থাকলেও মিজানসহ তার পরিবারের কেউ বার এসোসিয়েশনের সদস্য আইনজিবী জাকিরের দোষ থাকলেও, তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা করতে পারবে না। যা এলাকায় অরাজকতা সৃষ্টির আভাস পাওয়া যায় বলে মন্তব্য করেছেন সচেতন মহল।
উক্ত স্ট্যাম্পের শর্ত দেখেই ধারনা পাওয়া যায় রাজশাহী এডভোকেট বার এসোসিয়েশনের কর্মকান্ড সম্পর্কে।
বিএনপির ছায়াতলে থেকে জমসেদ কোর্টে তুলেছে একক আধিপত্য।
যার প্রেক্ষিতে সাধারন মানুষেরা বিচার বিভাগ থেকে সুষ্ঠ বিচারের আশা একে তো হারিয়ে ফেলেছেই সাথে বিচার বিভাগেও নিরাপত্তা আশঙ্কা তেও ভুগছে।
তথাকথিত অভিযুক্ত আসামী অধ্যক্ষ মিজান একজন প্রতিবাদী ও সচেতন মহলের মানুষ ছিলেন বলে ব্যাক্ত প্রকাশ করেছেন গ্রামের একাংশ । আসামী পক্ষের লোকজন বলেন, গত ৫ আগস্টের পরে কোনো আওয়ামীলীগের নেতা কর্মী কোথাও চাদাবাজী করবে কোন বলশক্তিতে?? অথচ এডভোকেট জাকির অধ্যক্ষ কে আওয়ামীলীগ রাজনীতির সাথে যুক্ত এমন উক্তি তুলে এসকল মিথ্যা হয়রানিমুলক চাদাবাজীর মামলার করেন। অন্যদিকে এসবকিছুর করিগর হিসেবে কলকাঠি নাড়ছেন রাজশাহী বার এসোসিয়েশনের এর সেক্রেটারি জমসেদ মজুমদার বলেও অভিযোগ তুলেছেন ভুক্তভুগী আসামীগনরা।
অপদিকে মামলার এজহারে উল্লেখিত এডভোকেট জাকিরের চেম্বারের কোনো অস্তিত্ব উল্লেখিত কোয়েল হাট বাজারে দেখা যায় নি। যে দোকান কে জাকির চেম্বার হিসেবে ও চেম্বারের ড্রয়ার থেকে ৯০ হাজার টাকা চুরির যাবার কথা অভিযোগে উল্লেখ করেছে সেই দোকানের প্রকৃত মালিকোও জাকির সমন্ধে ভালো মন্তব্য করেন নি (প্রকৃত মালিকের বক্তব্য প্রতিবেদনের শেষে আছে) । এমনকি গ্রামের কেউ কেউ তাকে ইয়াবাসেবনকারি হিসেবে অ্যাখ্যা দিয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রত্যক্ষদর্শী দোকানদারের কাছে ঘটনার বিবরণ জানতে চাইলে বলেন, গত ৫ই আগস্ট আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পরে ৬ আগস্ট রাতে জেল থেকে ছাড়া পাওয়া বিএনপির নেতাকর্মীদের নিয়ে কোয়েল বাজারের এক কোনায় জাকির মিটিং করে এবং বাজারের বেশকিছু দোকান ঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের পরিকল্পনা করে। বিষয়টি আভাস পেয়ে অধ্যক্ষ মিজান একজন গ্রামের সচেতন ব্যাক্তি হিসেবে বাজার বনিক সমিতির সভাপতি আব্দুল করিম কে জনালে রাতেই হাট মোসজিদের মাইকিং করে সকল দোকানদারদের ডেকে দোকানঘর ভাঙচুর ও লুটপাত থেকে প্রতিরোধ করে। এরই রাগের জের ধরে ৭ আগস্ট বুধবার এডভোকেট জাকির তার দলবল নিয়ে অধ্যক্ষ মিজানের উপর চড়াও হয় এবং হাতাতির একপর্যায়ে হাতুড় দিয়ে অধ্যক্ষের মাথা ফাটিয়ে দেয় এবং রড দিয়ে মেরে বাম হাত ভেঙে দেই। এরই প্রেক্ষিতে অধ্যক্ষের সমর্থকরা বাজারে জড়ো হয়ে জাকির ও তার সমর্থক দের ধাওয়া দেই।
ভুক্তভোগীদের একজন বলেন, আমাদের কোর্টে ধরে নিয়ে গিয়ে দলবল নিয়ে হুমকি দিয়ে স্ট্যাম্পে সই করে নিয়েছে এডভোকেট জমসেদ। মানুষ যেখানে বিচার চাইতে আসে সেখাই যদি বিচারবর্হিভূত কর্মকান্ড ঘটে, জান মালের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় সাধারন মানুষ বিচার বিভাগের উপর কিভাবে ভরসা করবে।
এই ব্যাপারে জমসেদ মজুমদারের ও এডভোকেট জাকিরের সাথে একাধিকবার ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও, তাদের কোনো মন্তব্য গ্রহণ করা সম্ভব হয় নি।
সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষ এবং কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের বিচার কার্যক্রম চালানো, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা রোধ করা সম্ভব হয় এবং মানুষের বিচার পাওয়ার অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয় এ বিষয়ে ভুক্তভোগীরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
দোকানের প্রকৃত মালিকের মন্তব্য নিচের লিংকে গিয়ে শুনুন।