শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:২৭ অপরাহ্ন

রাজশাহীর বাঘা গলা কেটে হত্যা

প্রথম পাতা
প্রকাশিতঃ শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:২৭ অপরাহ্ন

এলাকার সবাই তাকে খুজতে শুরু করলেও তাকে তার খুজে পাওয়া যায় না এবং পরের দিন সকালে এক মহিলা হাটতে গেলে সে প্রথম নিহত কে দেখতে পায়। আর তারপরেই সবাই জানানি করা হয় এবং বাঘা থানাতে ফোন করলে তারা আসে এবং জানা যায় যে তাকে গলা কেটে হত্যা করেছে।

আজ শনিবার আনুমানিক  সকাল ৮:১৫ মিনিটে  রাজশাহী জেলার বাঘা উপজেলার মনিগ্রাম ইউনিয়নের পল্লি বিদ্যুৎ অফিসের পশ্চিম দিকে এক আম-বাগানে পাওয়া যায় এক ব্যাক্তির  লাশ, পরে নিহত ব্যাক্তির পরিচয় পাওয়া যায়। নিহত মো: আনিসুর (৪২) মনিগ্রাম ইউনিয়নের তুলশিপুর গ্রামের মন্ডল পাড়া গ্রামের বাসিন্দা  পিতা মৃত সামছুল মোল্লা এর বড় ছেলে।  স্থানিয়দের সাথে কথা বলে জানা যে নিহত আনিসুর কিছুটা মানসিক প্রতিবন্ধী এবং কিছুটা বাক-প্রতিবন্ধী। নিহতের ভাইরাভাই (শালিকার স্বামী) এর সাথে কথা বলে জানা যে, নিহত একজন দিন-মুজুর।  গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে আনুমানিক সন্ধ্যা ৭ টার দিকে তার কাছে থেকে নিহত আনিসুর ৫০০০/- টাকা তার কিস্তি দেবার জন্য টাকা ধার করে এবং তারপর তাকে খুজে পাওয়া যায়নি। এলাকার সবাই তাকে খুজতে শুরু করলেও তাকে তার খুজে পাওয়া যায় না এবং পরের দিন সকালে এক মহিলা  হাটতে গেলে সে প্রথম নিহত কে  দেখতে পায়। আর তারপরেই সবাই জানানি করা হয় এবং বাঘা থানাতে ফোন করলে তারা আসে এবং জানা যায় যে তাকে গলা কেটে হত্যা করেছে। নিহত ব্যাক্তির কাছ থেকে সামান্য কিছু টাকা পাওয়া যায় এবং একটি  টচ- লাইট পাওয়া য। নিহত ব্যাক্তির  অবস্থা দেখে মনে হয়  নিহতকে হত্যা করার সময় তার সাথে ধস্তাধস্তির আলামত পাওয়া যায়।  গোপন সুত্রে জানা যায় যে নিহত  ব্যাক্তির সাথে এক প্রতিবেশীর সাথে জমি-জমা সংক্রান্ত একটি একটি ঝামেলার কথা জানা যায়। তাছাড়া  স্থানীয় বাসিন্দা এবং পাড়া-প্রতিবেশীদের কাছে নিহত ব্যাক্তি অত্যান্ত সাদাসিধা এবং কখনও কোন বিবাদে জড়িত না। পরবর্তী  এই হ্যাত্যার বিষয়ে চারঘাট  সাকেল সিনিয়র অফিসার এ.এস.পি শ্রী প্রনব কুমারের সাথে কথা বললে জানা যায় এই হত্যার বিষয়টি তদন্ত করার জন্য দরকার হলে সি.আই.ডি সহয়তা নিবেন। জানা যায় নিহত লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (রামেকে) পাঠানো হয়েছে। এ.এস.পি প্রনব কুমার নিহত  ব্যাক্তির বাড়িতে গিয়ে পরিবার এর সদস্যদের সাথে কথা বলে এবং কিছু চাঞ্চল্যকর  তথ্য পান। কিন্তু এই হত্যা মামলার তদন্তের জন্য তথ্য গুলো গোপন করা হয়েছে এবং ইতিমধ্যে বাঘা থানায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে  হত্যা মমলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানান বাঘা থানার ইনেস্পক্টর বজুলুর রশিদ।

 

সূত্র: ইন্টারনেট


আরো পড়ুন

মন্তব্য