শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:০২ অপরাহ্ন

রাজশাহীর আলুপট্টি এখন থেকে ‘বিজয়ের মোড়’

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশিতঃ শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:০২ অপরাহ্ন

রাজশাহী নগরের আলুপট্টি মোড়ে সেদিন গুলির সামনে দাঁড়িয়ে গিয়েছিল ছাত্র-জনতা। পুলিশ আর যুবলীগের গুলিতে সেদিন জখম হন অর্ধশতাধিক। প্রাণ হারান দুই ছাত্র। কিছুক্ষণ পরই খবর আসে, পতন ঘটেছে আওয়ামী লীগ সরকারের। তাই রাজশাহী নগরের এই আলুপট্টি মোড়ের নাম রাখা হলো ‘বিজয়ের মোড়’।

আজ রোববার বিকেলে আলুপট্টি মোড়ে বিপ্লব ও সংহতি দিবসের এক সমাবেশে এ ঘোষণা দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের অন্যতম উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু। জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের রাজশাহী জেলা ও মহানগর কমিটি এই সমাবেশের আয়োজন করে। সমাবেশে রাজশাহীর সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) সাবেক মেয়র মিনু বলেন, ‘৫ আগস্ট রাজশাহীর তিন সন্তান শাহাদতবরণ করেছেন। এখনো একজন গুম হয়ে আছেন। আজ থেকে এই মোড়ের নাম বিজয়ের মোড়।’

রাসিকের সাবেক মেয়র বলেন, ‘রাজশাহীর তথাকথিত চোর, বাটপার, ভূমিদস্যু, বালুবাবাদের গডফাদার ছিলের লিটন (সাবেক সিটি মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন)। আর এখানকার একজন গডফাদার ছিলেন ডাবলু (নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার)। তাঁদেরও আগামী দিনে বিচারের আওতায় আনা হবে।’

মিজানুর রহমান মিনু আরও বলেন, ‘যারা বীরের বেশে সে দিন খুনি হাসিনার দালালদের সামনে দাঁড়িয়েছিল, তারা জাতির সর্বশ্রেষ্ঠ সন্তান। তাদের বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল সর্বশ্রেষ্ঠ সম্মান দিয়েছে। যে জাতি তার বীরদের সম্মান দেয় না, সেই জাতি কোনো দিনই মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে না। তাই এই বিজয়ের মোড় আমরা উৎসর্গ করলাম আমাদের বীর শহীদদের। তাদের নামেই আমরা স্মৃতিচিহ্ন রাখব। কোনোরকম ভাস্কর্য-মূর্তি আমরা বানাব না। আমরা তাদের নাম লিপিবদ্ধ করে রাখব, যেন হাজার বছর ধরে তারা মানুষের হৃদয়ে টিকে থাকে।’

এর আগে নগরের বাটার মোড় থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। এতে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের জেলা-মহানগরের নেতা-কর্মী ছাড়াও বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদলসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা অংশ নেন। শোভাযাত্রাটি রাজশাহী কলেজের সামনে দিয়ে মণিচত্বর, সাহেববাজার হয়ে আলুপট্টি মোড়ে গিয়ে সমাবেশে মিলিত হয়।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন মুক্তিযোদ্ধা দলের রাজশাহী জেলার আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম খোকা। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম, নগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শফিকুল হক মিলন, নগর যুবদলের সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ সুইট, সাবেক আহ্বায়ক আব্দুল কাদের বকুল, নগর যুবদলের সদস্যসচিব রফিকুল ইসলাম রবি প্রমুখ।

সূত্র: ইন্টারনেট


আরো পড়ুন

মন্তব্য