বুধবার (১৬ অক্টোবর) দিনগত রাত দেড়টার দিকে নগরের কাটাখালী বাজার সংলগ্ন এলাকায় সড়কের পাশে তার মরদেহ পাওয়া যায়। কিন্তু ঘটনাস্থলে আলমের রিকশাটি পাওয়া যায়নি। পুলিশ ও পরিবারের ধারণা, আলমের রিকশাটি নেওয়ার জন্য ছুরিকাঘাতে তাকে হত্যা করা হয়েছে।
কাটাখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মতিন জানান, আলমের মরদেহের গলা ও বুকে ধারালো অস্ত্রের জখম ছিল। রাতে সড়কের পাশে মরদেহটি পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় এক ব্যক্তি পুলিশে খবর দেন। পরে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজের (রামেক) মর্গে পাঠানো হয়।
এর আগে রাতেই পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) সদস্যরা ঘটনাস্থল থেকে আলামত জব্দ করেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে কাটাখালী থানার ফেসবুক পেইজে নিহত ব্যক্তির ছবি প্রকাশের পর পরিবারের সন্ধান পায় পুলিশ।
ওসি জানান, এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে। পাশাপাশি আলমকে খুনের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিকেও শনাক্ত করার চেষ্টা করছে পুলিশ।
গত ২২ সেপ্টেম্বর রাজশাহীর দামকুড়া থানার ল’পাড়া গ্রামে সাজামুল ইসলাম নামের এক রিকশাচালকের লাশ পাওয়া যায়। তাকেও খুনের পর রিকশাটি নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। পরে ৪ অক্টোবর মাসুম আলী (৩৪) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়।
তিনি ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। মাসুম আদালতে জানান, সাজামুলের রিকশা তিনি সিরাজগঞ্জে নিয়ে বিক্রি করেছিলেন।
সুত্র: ইন্টারনেট