শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০২:৩৮ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনামঃ
চাঁপাইনবাবগঞ্জে রক্তদাতাদের বার্ষিক মিলনমেলা ও কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন অঙ্গন পাঠান চাঁপাইনবাবগঞ্জে খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া ও ইফতার মাহফিল তানোরে মাদক ও বাল্যবিবাহ বিষয়ক সচেতনতামূলক আলোচনা সভা খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় চাঁপাইনবাবগঞ্জে দোয়া ও ইফতার মাহফিল চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা রিপোর্টার্স ক্লাবের উদ্যোগে অসহায়দের মাঝে ইফতার বিতরণ গভীর রাতে পুড়ে ছাই আড়াইশ হাঁশ-মুরগিসহ দোকান চাঁপাইনবাবগঞ্জ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে দোয়া ও ইফতার মাহফিল প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ তানোরে কারিগরি দক্ষতা বৃদ্ধি প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

রাজশাহীতে পুলিশ কনস্টেবলকে জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায়ের চেষ্টা

প্রথম পাতা
প্রকাশিতঃ শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০২:৩৮ অপরাহ্ন

রাজশাহীতে পুলিশের এক কনস্টেবলকে জিম্মি করে আড়াই লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায়ের চেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় পুলিশ ভুক্তভোগীকে উদ্ধারের পাশাপাশি একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তবে, এ ঘটনার মূলহোতা মো. মিলন (৩৫) পালিয়ে গেছেন।

রাজপাড়া থানার ওসি আশরাফুল আলম বলেন, “মিলন সম্প্রতি জেল থেকে জামিনে বের হয়েছেন। এরপর থেকেই কনস্টেবল জনিকে জিম্মি করার জন্য ওঁৎ পেতে ছিলেন। শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) ভোররাত সাড়ে ৩টার দিকে জনিকে পেয়ে জিম্মি করে টাকা আদায়ের চেষ্টা করেন। খবর পেয়ে আমরা জনিকে উদ্ধার করেছি।”

 

ভুক্তভোগী পুলিশ সদস্যের নাম বদিউজ্জামান জনি। তিনি রাজশাহী নগরের রাজপাড়া থানায় কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে কর্মরত।

গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম সানোয়ার।

পুলিশ বলছে, অভিযুক্ত মিলনের বাড়ি নগরের হড়গ্রাম এলাকায়। তার বিরুদ্ধে একাধিক চুরি ও ছিনতাইয়ের মামলা রয়েছে। প্রায় সাত মাস আগে একটি ছিনতাইয়ের ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন মিলন। সেদিন কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে মামলা লিখেছিলেন জনি। সেই রাগেই জনিকে জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায়ের চেষ্টা করেছিলেন মিলন।

 

পুলিশ জানায়, কনস্টেবল জনি পরিবার নিয়ে নগরের কোর্ট স্টেশন এলাকায় থাকেন। থানায় ডিউটি শেষে শুক্রবার ভোররাত সাড়ে ৩টার দিকে তিনি মোটরসাইকেলে বাড়ি যাচ্ছিলেন। টুলটুলিপাড়া মোড়ে মিলনসহ পাঁচ-ছয়জন তার গতিরোধ করে। এরপর দেশীয় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করা হয় জনিকে। এ সময় তার কাছে আড়াই লাখ টাকা দাবি করা হয়।

মিলন ওই কনস্টেবলকে বলেন, ওই মামলায় গ্রেপ্তারের পর জামিন পেতে তার অনেক টাকা খরচ হয়েছে। এই টাকা এখন দিতে হবে। প্রাণহানির ভয়ে কনস্টেবল জনি তখন তার এক বন্ধুকে ফোন করেন টাকার জন্য। ওই বন্ধু বিষয়টি জনির বাবাকে জানান। এরপর জনির বাবা বিষয়টি রাজপাড়া থানায় জানান। প্রায় দুই ঘণ্টা পর পুলিশ গিয়ে জনিকে উদ্ধার করে। এ সময় মিলনসহ অন্যরা পালিয়ে গেলেও সানোয়ার নামের একজনকে গ্রেপ্তার করতে পারে পুলিশ।

ওসি আশরাফুল আলম বলেন, “এ ঘটনায় পুলিশ কনস্টেবলের বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। আসামি হিসেবে মিলন ও সানোয়ারসহ চারজনের নাম উল্লেখ আছে। নাম না জানা আসামি আছেন আরো ছয়-সাতজন। মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে সানোয়ারকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার মূলহোতা মিলনসহ অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।”

 

রাংবিডি/অন/৩১


আরো পড়ুন

মন্তব্য