উন্নয়ন সংস্থা লেডিস অর্গানাইজেশন ফর সোসাল ওয়েলফেয়ার (লফস) অত্র জেলায় দীর্ঘদিন যাবৎ নারী ও শিশুর উন্নয়নে কাজ করছে। মানবাধিকার সংগঠন হিসেবে লফস সংস্থার ডকুমেন্টেশন সেল থেকে রাজশাহীর প্রচারিত দৈনিক পত্রিকার সংবাদের ভিত্তিতে নিয়মিত নারী ও শিশু নির্যাতনের পরিস্থিতি প্রকাশ করে। লফস মনে করে অত্র অঞ্চলে নারী ও শিশু নির্যাতন পরিস্থিতি বিভিন্ন মাত্রায় অবনতি ঘটছে।
যৌতুক ও পরকীয়ার কারনে অধিকাংশ নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে। অনেক ক্ষেত্রে বিদেশি কিছু টিভি সিরিয়াল পরকিয়াকে উৎসাহিত করছে। এছাড়া পারিবারিক কলহ ও প্রেম ঘটিত কারনে হত্যা-আত্মহত্যা ও অমানবিক নির্যাতনের মতো ঘটনা ঘটছে। বিষয়গুলো কারও জন্য সুখকর নয়। নভেম্বর মাসে অমানবিক কিছূ ঘটে যাওয়া ঘটনার চিত্র – বাঘায় ৫ম শ্রেণির এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ , নগরীরতে দুই শিশুকে ড্যামফিক্স পান করানোর অভিযোগ, গোদাগাড়ি উপজেলায় ৩য় শ্রেণির ১৫ জন শিক্ষার্থী শিক্ষক দ্বারা নির্যাতনের শিকার, দুর্গাপুর উপজেলায় আম্বিয়া খাতুন (৪০) নামে এক নারী কে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ, তানোর উপজেলার তানন্দ ইউপির নারায়ণ পুর গ্রামে মুক্তা আক্তার ময়না (৩৪) নামে এক নারী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা, দুর্গাপুর উপজেলার ধরমপুর মধ্যপাড়া গ্রামে এক নারী কে ধর্ষণের অভিযোগ, মোহনপুরে শতবর্ষী এক নারী (১০৫) নির্যাতনের শিকার, ঘটনাগুলো সকলের জন্য উদ্বেগজনক।
লফস এর নির্বাহী পরিচালক শাহানাজ পারভীন বলেন সংবাদ পত্রে প্রকাশিত ঘটনার বাইরেও অনেক ঘটনা ঘটে যা প্রকাশিত হয় না বা কোন তথ্য জানা যায় না এমন বাস্তবতায়। রাজশাহীতে নারী ও শিশু নির্যাতনের প্রকাশিত তথ্য হতাশাজনক। রাজশাহী অঞ্চলে নারী – শিশু নির্যাতন সহ সার্বিক ঘটনাগুলোর সুষ্ঠ তদন্ত ও দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। তিনি বলেন অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করা না গেলে ক্রমশই অপরাধীরা উৎসাহিত হবে এবং অপরাধের মাত্রা বৃদ্ধি পাবে। লফস সকল নারী-শিশু নির্যাতন ঘটনাগুলোর সুষ্ঠ তদন্ত স্বাপেক্ষে অপরাধীর কঠোর শাস্তির দাবী জানান।
২০২৪, নভেম্বর মাসের নারী ও শিশু পরিস্থিতির তথ্য তুলে ধরা হলো-
হত্যা ঃ শিশু – ০০ জন নারী – ০১ জন মোট – ০১ জন
হত্যার চেষ্টা ঃ শিশু – ০২ জন নারী – ০০ জন মোট – ০২ জন
শ্লীলতাহানি ঃ শিশু – ০১ জন নারী – ০০জন মোট – ০১ জন
ধর্ষণ ঃ শিশু – ০০ জন নারী – ০১ জন মোট – ০১ জন
আত্বহত্যা ঃ শিশু – ০০ জন নারী – ০১ জন মোট – ০১ জন
নির্যাতনঃ শিশু – ১৫ জন নারী – ০১ জন মোট – ১৬ জন
সর্বমোট – শিশু – ১৮ জন নারী – ০৪ জন মোট – ২২ জন