রাজশাহীতে পুলিশের কনস্টেবল নিয়োগ পরীক্ষায় প্রক্সি দেওয়ার অভিযোগে সুমন মিয়াসহ (২৪) প্রকৃত পরীক্ষার্থী ও এক সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ বৃহস্পতিবার জেলা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক রুহুল আমিন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গতকাল বুধবার রাজশাহী জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যরা তাঁদের গ্রেপ্তার করে। পরে রাতে তাঁদের বিরুদ্ধে নগরের রাজপাড়া থানায় মামলা করেন ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) জিলালুর রহমান।
প্রক্সি দিতে বসা সুমন মিয়ার বাড়ি কুমিল্লার বুড়িচং থানার পশ্চিম সিংহ গ্রামের। তিনি শাজজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষ করেছেন। অন্য দুজন হলেন রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার বাঙ্গালপাড়া গ্রামের মো. রাকিব (১৯) ও রাজশাহী নগরের বাকির মোড় এলাকার বাসিন্দা তৌফিকুর রহমান (৩৫)।
ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) জিলালুর রহমান জানান, বুধবার সকালে জেলা পুলিশের ব্যবস্থাপনায় রাজশাহীর শহীদ মামুন মাহমুদ পুলিশ লাইনস স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে নিয়োগ পরীক্ষা ছিল। পরীক্ষা চলাকালে পরিদর্শক লক্ষ্য করেন পরীক্ষা দিতে বসা সুমনের সঙ্গে প্রবেশপত্রে থাকা ছবির মিল নেই। পরে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের মুখে সুমন জানান, তিনি রাকিবের হয়ে পরীক্ষা দিতে কেন্দ্রে এসেছেন।
এরপর ডিবি পুলিশের একটি দল গিয়ে সুমনকে পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে আটক করে। এরপর তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মূল পরীক্ষার্থী রাকিব ও তাঁর সহযোগী তৌফিকুরকে পুলিশ লাইন সংলগ্ন নদীর পাড় থেকে আটক করা হয়। এরপর তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
তিনি আরও জানান, সুমন মিয়া শাজজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষ করে বেকার আছেন। তিনি টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় প্রক্সি দেন বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন। মামলা দায়েরের পর তিন আসামিকেই আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।