চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে জাতীয় ক্রিকেট লিগের পঞ্চম রাউন্ডে রাজশাহী ও চট্টগ্রাম মুখোমুখি হয়েছে। প্রথম দিনেই রাজশাহীকে অলআউট করে স্বাগতিকরা লিড নিয়েছে। আগে ব্যাটিং করে রাজশাহী ১১২ রানে অলআউট হয়। জবাবে খেলতে নেমে প্রথম দিন শেষে চট্টগ্রামের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৮ উইকেটে ১৭৩ রান। তাতে ৬১ রানের লিড পায় তারা।
টস জিতে রাজশাহীকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় চট্টগ্রাম। দলটির পেসার ফরহাদ হোসেনের বোলিংয়ে খেই হারিয়ে ফেলে রাজশাহী। পয়েন্ট টেবিলের ৫ নম্বরে থাকা দলটি অল্প পুঁজি গড়ে আউট হয়। দলটির কেউই দায়িত্বশীল ইনিংস খেলতে পারেননি। সর্বোচ্চ ২৩ রান আসে গোলাম কিবরিয়ার ব্যাট থেকে। তানজিদ হাসান তামিম (১৯) ও রহমতউল্লাহ আলী (১৯) দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান করেন।
চট্টগ্রামের বোলারদের মধ্যে ফরহাদ ৩১ রানে নেন পাঁচটি উইকেট। এছাড়া ইফরান হোসেন ও আশরাফুল হাসান নেন দুটি করে উইকেট।
রাজশাহীকে দ্রুত অলআউট করে স্বাগতিক চট্টগ্রামও ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে। দুই ওপেনার সাদিকুর রহমান ও পারভেজ হোসেন ছাড়া কেউই রান করতে পারেননি। দুজনের ৯৬ রানের জুটির পর দারুণ কিছু আশা করা হচ্ছিল। কিন্তু ৭৭ রান তুলতেই তারা ৮ উইকেট হারায়। সাদিকুর ৫৪ ও পারভেজের ব্যাট থেকে আসে ৪১ রানের ইনিংস। শামীম হোসেন পাটোয়ারী ১৯ ও আশরাফুল হাসান শূন্যতে অপরাজিত আছেন। রবিবার ২ উইকেট হাতে নিয়ে দিন শুরু করবে চট্টগ্রাম।
রাজশাহীর বোলারদের মধ্যে সাব্বির হোসেন ও ওয়াইসি সিদ্দিকী সর্বোচ্চ তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন।
খুলনা আবু নাসের স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচেও বোলারদের দাপট দেখা গেছে। আগে ব্যাটিং করে ঢাকা মেট্রো ১৩০ রানে অলআউট হয়। ওই ম্যাচেও দুই ওপেনার নাঈম শেখ ও মাহফিজুল রহমান রবিনের ৫৩ রানের জুটির পর বিপর্যয়ে পড়ে ঢাকা মেট্রো। সর্বোচ্চ ৩১ রান আসে নাঈমের ব্যাট থেকে।
মেট্রোকে দ্রুত অলআউট করে অবশ্য সিলেট দারুণ ব্যাটিং করেছে। প্রথম দিন শেষে তারা ২ উইকেট হারিয়ে ১৩৭ রান সংগ্রহ করেছে। সিলেটের দুই ওপেনার ৫৮ রানের জুটির পর আউট হন। পিনাক ঘোষ (১৬) ও তৌফিক খান তুষার আউট হন ৪২ রানে। বাকি সময়টাতে অবশ্য আর উইকেট যায়নি। মুবিন আহমেদ দিশান (১৯) ও অমিত হাসান (৫১) অপরাজিত আছেন। ৭ রানে এগিয়ে থেকে রবিবার দ্বিতীয় দিন শুরু করবে সিলেট।
সূত্র: ইন্টারনেট