জাকির হোসেন,নিয়ামতপুর(নওগাঁ) প্রতিনিধিঃ
নওগাঁর নিয়ামতপুরে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জমে উঠেছে শেষ মুহূর্তের প্রচার। পোস্টার, নির্বাচনী মাইকিং ও গান-বাজনায় মুখর বরেন্দ্র অঞ্চল। নেতাকর্মী ও ভোটাররা পছন্দের প্রার্থীদের শেষ মূহুর্তের প্রচারে মেতে উঠেছেন। পাড়া-মহল্লায় বিরাজ করছে নির্বাচনী উৎসব।
জানা গেছে, নির্বাচনী প্রতীক পেয়েই গণসংযোগে কিছুটা ধীর গতি থাকলেও শেষ সময়ে এসে মাঠে পুরোদমে নেমে পড়েছেন নেতাকর্মী ও প্রার্থীরা। এতে গরম হয়ে উঠেছে ভোটের মাঠ। তবে বোরোধান কর্তনের সময় হওয়ায় ভোট উৎসব নিয়ে কিছুটা শঙ্কাও প্রকাশ করছেন প্রার্থীরা। আগামী ২১ মে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ২য় ধাপে ভোট অনুষ্ঠিত হবে।
সরোজমিনে উপজেলা ঘুরে দেখা গেছে, প্রার্থীরা সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ভোটারদের বাড়ি বাড়ি ও বিভিন্ন বাজারের মোড়ে বৈঠক করে প্রচার চালাচ্ছেন। গণসংযোগ চালিয়ে দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি। ইউনিয়নের বিভিন্ন হাট-বাজার, পাড়া-মহল্লা, চায়ের দোকানে চলছে নির্বাচনী আলোচনা। গ্রামের পথঘাট পোস্টারে ছেয়ে গেছে। সঙ্গে নির্বাচনী মাইকিং ও গান-বাজনায় মুখর হয়ে উঠেছে। চেয়ারম্যান প্রার্থীদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীরাও ভোটারদের বাড়ি গিয়ে ভোট প্রার্থনা করেছেন। গ্রামের সাধারণ ভোটাররা পছন্দের প্রার্থীদের প্রচারে অংশ নিয়ে রীতিমতো উৎসবে মেতে উঠেছেন।
এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাঁরা হলেন, বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ফরিদ আহম্মেদ(মোটরসাইকেল), উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ(কাপ-পিরিচ), উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হাসান বিপ্লব(হেলিকপ্টার), উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইশ্বর চন্দ্র বর্মন (ঘোড়া), জেলা আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক আবেদ হোসেন মিলন (আনারস) ও সোহরাব হোসেন জোড়া ফুল প্রতীক নিয়ে।
উপজেলা সহকারী রিটার্নিং কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচনে ৬ জন চেয়ারম্যান, ৫ জন ভাইস চেয়ারম্যান ও ৪ জন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোট ১৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
প্রার্থীরা বলছেন, নিজেদের পছন্দের প্রতীক নিয়ে তাঁরা ভোটারদের বাড়িতে গিয়ে ভোট চাচ্ছেন। তাঁদের খোঁজ খবর নেওয়াসহ নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে কুশল বিনিময় করছেন। সেই সঙ্গে নিজেদের প্রার্থিতার কথা জানান দিয়ে ভোটারদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করছেন।
ভোটাররা বলছেন, প্রতীক দেখে নয় এলাকার উন্নয়নে যিনি কাজ করবেন এবং ভালো মানুষ হিসেবে পরিচিত এমন প্রার্থীকেই বেছে নেবেন তাঁরা। শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চান তাঁরা। যদিও নিয়ামতপুরে এখন পর্যন্ত বড় ধরনের কোনো অপ্রীতিকর খবর পাওয়া যায়নি।
উপজেলা সদরের ভোটার তোফায়েল বলেন, সবখানে এখন নির্বাচনী হওয়া। শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চান তিনি। শেষ পর্যন্ত ভোটের পরিবেশ সুন্দর রাখার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
রসুলপুর ইউনিয়নের পানিহারা গ্রামের জেনারুল ইসলাম বলেন, রাস্তাঘাটের উন্নয়নসহ অনেক কাজ বাকি আছে। যে প্রার্থী আপদে-বিপদে মানুষের পাশে থাকবেন তিনি তাঁকেই ভোট দেবেন।
উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ফরিদ আহম্মেদ বলেন, ৫ম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে জয়ী হয়ে ৫ বছর জনগণের প্রতিনিধি হয়ে কাজ করেছি। ২১ মে অনুষ্ঠিত ভোটে সাধারণ ভোটাররা মোটরসাইকেল প্রতীকে ভোট দিয়ে জয়ী করবেন এবং উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখবেন।
ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী রায়হান কবির রাজু বলেন, জনগণের মাঝে ব্যাপক সাড়া পেয়েছি। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্ম যেভাবে সাড়া দিয়েছে তাতে জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী। নির্বাচিত হলে জনসাধারণের চাহিদা অনুযায়ী কাজ করতে চাই।
সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) ইমতিয়াজ মোরশেদ বলেন, নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি প্রায় শেষ। উপজেলায় আগামী ২১ মে অনুষ্ঠিত ভোটে উপজেলার ৭৯ টি কেন্দ্রে ২ লক্ষ ১১ হাজার ৭শ ৭৫ জন ভোটার তাদের ভোটার প্রয়োগ করবেন। #১৯ মে ২০২৪ ইং
নিয়ামতপুরে উপজেলা নির্বাচন, জমে উঠেছে শেষ মূহুর্তের প্রচার-প্রচারণা
জাকির হোসেন
নিয়ামতপুর(নওগাঁ) প্রতিনিধিঃ
নওগাঁর নিয়ামতপুরে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জমে উঠেছে শেষ মুহূর্তের প্রচার। পোস্টার, নির্বাচনী মাইকিং ও গান-বাজনায় মুখর বরেন্দ্র অঞ্চল। নেতাকর্মী ও ভোটাররা পছন্দের প্রার্থীদের শেষ মূহুর্তের প্রচারে মেতে উঠেছেন। পাড়া-মহল্লায় বিরাজ করছে নির্বাচনী উৎসব।
জানা গেছে, নির্বাচনী প্রতীক পেয়েই গণসংযোগে কিছুটা ধীর গতি থাকলেও শেষ সময়ে এসে মাঠে পুরোদমে নেমে পড়েছেন নেতাকর্মী ও প্রার্থীরা। এতে গরম হয়ে উঠেছে ভোটের মাঠ। তবে বোরোধান কর্তনের সময় হওয়ায় ভোট উৎসব নিয়ে কিছুটা শঙ্কাও প্রকাশ করছেন প্রার্থীরা। আগামী ২১ মে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ২য় ধাপে ভোট অনুষ্ঠিত হবে।
সরোজমিনে উপজেলা ঘুরে দেখা গেছে, প্রার্থীরা সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ভোটারদের বাড়ি বাড়ি ও বিভিন্ন বাজারের মোড়ে বৈঠক করে প্রচার চালাচ্ছেন। গণসংযোগ চালিয়ে দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি। ইউনিয়নের বিভিন্ন হাট-বাজার, পাড়া-মহল্লা, চায়ের দোকানে চলছে নির্বাচনী আলোচনা। গ্রামের পথঘাট পোস্টারে ছেয়ে গেছে। সঙ্গে নির্বাচনী মাইকিং ও গান-বাজনায় মুখর হয়ে উঠেছে। চেয়ারম্যান প্রার্থীদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীরাও ভোটারদের বাড়ি গিয়ে ভোট প্রার্থনা করেছেন। গ্রামের সাধারণ ভোটাররা পছন্দের প্রার্থীদের প্রচারে অংশ নিয়ে রীতিমতো উৎসবে মেতে উঠেছেন।
এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাঁরা হলেন, বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ফরিদ আহম্মেদ(মোটরসাইকেল), উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ(কাপ-পিরিচ), উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হাসান বিপ্লব(হেলিকপ্টার), উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইশ্বর চন্দ্র বর্মন (ঘোড়া), জেলা আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক আবেদ হোসেন মিলন (আনারস) ও সোহরাব হোসেন জোড়া ফুল প্রতীক নিয়ে।
উপজেলা সহকারী রিটার্নিং কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচনে ৬ জন চেয়ারম্যান, ৫ জন ভাইস চেয়ারম্যান ও ৪ জন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোট ১৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
প্রার্থীরা বলছেন, নিজেদের পছন্দের প্রতীক নিয়ে তাঁরা ভোটারদের বাড়িতে গিয়ে ভোট চাচ্ছেন। তাঁদের খোঁজ খবর নেওয়াসহ নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে কুশল বিনিময় করছেন। সেই সঙ্গে নিজেদের প্রার্থিতার কথা জানান দিয়ে ভোটারদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করছেন।
ভোটাররা বলছেন, প্রতীক দেখে নয় এলাকার উন্নয়নে যিনি কাজ করবেন এবং ভালো মানুষ হিসেবে পরিচিত এমন প্রার্থীকেই বেছে নেবেন তাঁরা। শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চান তাঁরা। যদিও নিয়ামতপুরে এখন পর্যন্ত বড় ধরনের কোনো অপ্রীতিকর খবর পাওয়া যায়নি।
উপজেলা সদরের ভোটার তোফায়েল বলেন, সবখানে এখন নির্বাচনী হওয়া। শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চান তিনি। শেষ পর্যন্ত ভোটের পরিবেশ সুন্দর রাখার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
রসুলপুর ইউনিয়নের পানিহারা গ্রামের জেনারুল ইসলাম বলেন, রাস্তাঘাটের উন্নয়নসহ অনেক কাজ বাকি আছে। যে প্রার্থী আপদে-বিপদে মানুষের পাশে থাকবেন তিনি তাঁকেই ভোট দেবেন।
উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ফরিদ আহম্মেদ বলেন, ৫ম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে জয়ী হয়ে ৫ বছর জনগণের প্রতিনিধি হয়ে কাজ করেছি। ২১ মে অনুষ্ঠিত ভোটে সাধারণ ভোটাররা মোটরসাইকেল প্রতীকে ভোট দিয়ে জয়ী করবেন এবং উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখবেন।
ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী রায়হান কবির রাজু বলেন, জনগণের মাঝে ব্যাপক সাড়া পেয়েছি। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্ম যেভাবে সাড়া দিয়েছে তাতে জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী। নির্বাচিত হলে জনসাধারণের চাহিদা অনুযায়ী কাজ করতে চাই।
সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) ইমতিয়াজ মোরশেদ বলেন, নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি প্রায় শেষ। উপজেলায় আগামী ২১ মে অনুষ্ঠিত ভোটে উপজেলার ৭৯ টি কেন্দ্রে ২ লক্ষ ১১ হাজার ৭শ ৭৫ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।