মোঃ আসাদুল্লাহ সনি-চাঁপাইনবাবগঞ্জ :চলমান তীব্রতাপদাহে চাঁপাইনবাবগঞ্জের প্রধান অর্থকরী ফসল আমের গুটি ঝড়ে পড়া নিয়ে শঙ্কায় পড়েছেন আম বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীরা। এমনিতেই এ বছর মুকুল এসেছিলো কম, গাছে যে কটা আমের গুটি টিকে আছে সেগুলোর বৃদ্ধিও ঠিকমত হচ্ছে না তাপদাহের প্রভাবে। ঝরেও পড়ছে গুটি। আম বিজ্ঞানীরা পরামর্শ দিচ্ছেন, তাপদাহ থেকে আমকে বাঁচাতে নিয়মিত দিতে হবে পানি সেচ, প্রয়োজনে গাছে পানি স্প্রে করার পরামর্শও তাদের।
আমের রাজধানী খ্যাত চাঁপাইনবাবগঞ্জে এবার কিছুটা দেরিতেই ফুটেছিলো মুকুল। পরিমানেও ছিলো অনান্য বছরের তুলনায় কম। তারপরও শুরু থেকেই বাড়তি যন্তে বাগান গুলোতে মুকুল থেকে আস্তে আস্তে বড় হচ্ছে আম। এ কদিনের তীব্রতাপদাহ যেন শঙ্কায় ফেলেছে বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীদের। গাছে থাকা আমের গুটির বৃদ্ধি ও টিকে থাকা নিয়ে তারা পড়েছেন চিন্তায়। অন্যদিকে বাগানে সেচের কারনে বাড়ছে উৎপাদন খরচ।
আম সংগঠনের নেতারা বলছেন এবছর শুরু থেকেই বৈরী আবহাওয়ার কারনে তারা আমের আঙ্খিত ফলন নিয়ে চিন্তায় ছিলেন, চলমান তাপদাহ তাদের সেই চিন্তাকে আরো বাড়িয়েছে।
তবে আশাহত না হয়ে বাগানের সঠিক পরিচর্যা চালিয়ে যাওয়া ও তাপদাহ যতদিন চলমান থাকবে ততদিন বাগানে পর্যান্ত সেচ দেওয়া, তাপমাত্রা আরো বাড়লে সকালে বা বিকালে গাছে সরাসারি পানি স্প্রে করার পরামর্শ দিয়েছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ আঞ্চলিক উদ্যানতত্ব গবেষনা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. মোখলেসুর রহমান।
এ বছর চাঁপাইনবাবগঞ্জের আমের বাগান ৩৭ হাজার ৬০৪ হেক্টর আম বাগানে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত হয়েছে প্রায় সাড়ে চার লাখ মেট্রিক টন।