জাতীয় ক্রিকেট লিগে ঢাকার বোলারদের বিপক্ষে দুই ইনিংসেই খেই হারিয়েছে রাজশাহী। প্রথম ইনিংসে লজ্জার রেকর্ড গড়ে ৪২ রানে অলআউট হওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে কিছুটা উন্নতি হলেও করতে পেরেছে ১২৮ রান। কিন্তু দুই ইনিংস ব্যাটিং করেও ঢাকার ১৮১ রান ছুঁতে পারেনি তারা। ফলে ইনিংস ও ১১ রানের বড় ব্যবধানে হার মানে রাজশাহী। চার দিনের ম্যাচটি দুইদিনও স্থায়ী হয়নি। তার আগেই হার নিশ্চিত হয়েছে রাজশাহীর।
বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে প্রথম দিনে দাপট দেখিয়েছিলেন পেসার সুমন খান। তার গতির কাছে পরাস্ত হয়ে জাতীয় ক্রিকেট লিগের ইতিহাসে সর্বনিম্ন স্কোরের লজ্জার রেকর্ড গড়ে রাজশাহী বিভাগ। সুমনের হ্যাটট্রিকে তারা অলআউট হয়েছে পঞ্চাশের আগেই। ঢাকা বিভাগের এই পেসার নিয়েছেন ৭ উইকেট। এর আগে এনসিএলে সর্বনিম্ন স্কোরের রেকর্ড ছিল বরিশালের। তারা করেছিল ৪৬ রান।
রাজশাহীকে ৪২ রানে অলআউট করে ঢাকার ব্যাটিংটাও ভালো হয়নি। মোহর শেখ ও আসাদুজ্জামান পিয়ালের বোলিংয়ে ১৮২ রানে অলআউট হয় ঢাকা। অথচ দুই ওপেনার জিসান আলম ও রনি তালুকদার মিলে ৮৫ রানের ওপেনিং জুটি গড়েছিলেন। এরপরই ঘটে ছন্দপতন। শেষ দিকে সুমন খান ২৬ ও রিপন মন্ডল ১৫ রানের ইনিংস খেললে দেড়শ পার করে ঢাকা। জিসান ৪৪ ও রনি ৪০ রানের ইনিংস খেলেছেন। রাজশাহীর বোলারদের মধ্যে পিয়াল নেন চারটি উইকেট। তিনটি উইকেট নেন মোহর শেখ।
১৩৯ রানে পিছিয়ে থেকে শনিবার শেষ বিকালে ব্যাটিংয়ে নেমেছিল রাজশাহী। মাত্র ৬ ওভার খেলতে নেমেই তারা হারিয়েছে একটি উইকেট। এক উইকেটে ১৮ রান নিয়ে রবিবার দ্বিতীয় দিন শুরু করে দলীয় ৪১ রানে সাব্বির সাজঘরে ফিরেছেন। আগের দিন ২ রানে অপরাজিত থাকা এই ব্যাটার আজ যোগ করেছেন আরও ১৪ রান। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে রাজশাহী। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৮ রান আসে তানজিদ হাসানের ব্যাট থেকে। এছাড়া শেখ মেহরাব হোসেনের ব্যাট থেকে আসে ২৬ রানের ইনিংস। ব্যাটারদের ব্যর্থতায় শেষ অব্দি ১২৮ রানে থামে রাজশাহীর দ্বিতীয় ইনিংস।
আগের ইনিংসে রাজশাহীর ব্যাটিং মেরদণ্ড ভেঙে দেওয়া সুমন খান দ্বিতীয় ইনিংসে উইকেট শূন্য থাকলেও এনামুল হক নিয়েছেন ৫টি উইকেট। এছাড়া তরুণ পেসার রিপন মন্ডল নেন তিনটি উইকেট।