সাড়ে ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত একটি সেতু উদ্বোধনের আগেই সংযোগ সড়কে ফাটল দেখা দিয়েছে।ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলায় নরসুন্ধা শাখা নদীর ওপর পুরহরি-আমোদাবাদ-চাঁনপুর এলাকায় সম্প্রতি সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। কিন্তু উদ্বোধনের আগেই সেতুর দুই পাশের সংযোগ সড়কটি অল্প বৃষ্টিতেই ফেটে নালার সৃষ্টি হয়েছে। সেটি আড়াল করতে মাটি দিয়ে ঢেকে দিয়েছে ঠিকাদারের লোকজন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ভারি বৃষ্টি হলেই সড়কটি ধসে পড়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে সেতুটির সাথে। এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে উপজেলার আচারগাঁও ইউনিয়নের পুরহরি-আমোদাবাদ-চাঁনপুর সংযোগ সড়কের নরসুন্ধা শাখা নদীর ওপর ৪ কোটি ৫২ লাখ টাকা ব্যয়ে ৪৫ মিটার দীর্ঘ একটি সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয় স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)।
নান্দাইল উপজেলা প্রকৌশল অফিসের তত্ত্বাবধানে সেতুটি নির্মাণের কাজ পায় জামালপুরের ‘চৌধুরী এন্টারপ্রাইজ’। ২০১৮ সালের ৩১ অক্টোবর সেতুটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন সাবেক এমপি। সেতুটি নিমার্ণে কাজের শুরুতেই দায়সারা কাজের অভিযোগ উঠে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে । ২০২২ সালের ৮ আগস্ট সারা দিন-রাত দ্বিতীয় গার্ডারের ঢালাই দেওয়া হয়। ঢালাই দেওয়ার এক পর্যায়ে সবকটি ভাইব্রেটর মেশিন অকেজো হয়ে পড়ায় গার্ডারে ঠিকঠাক ঢালাইয়ের মালামাল পৌঁছায়নি। এ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে হৈচৈ শুরু হলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
এরপর উর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ একাধিক কারিগরি দল সরেজমিন দেখে ত্রুটিযুক্ত গার্ডারটি ভেঙে সেখানে নতুন একটি গার্ডার নির্মাণের নির্দেশনা দেন। পরে সেটি ভেঙে সেখানে নতুন করে গার্ডার নির্মাণসহ সেতু নির্মাণ কাজ শেষ হয়। কিন্তু উদ্বোধনের আগেই সেতুটির পূর্ব এবং পশ্চিম উভয় পাশের প্রায় ৪০ ফুট অ্যাপ্রোচ সড়কের দুই পাশের মাটি বৃষ্টিতে সরে গিয়ে ফেটে নালার মতো দেবে গেছে।
এ বিষয়ে নান্দাইল উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী শাহবো রহমান সজীব বলেন, সেতুটির দুইপাশে প্রয়োজনীয় জায়গার অভাব থাকায় অ্যাপ্রোচ সড়ক বড় করা যায়নি। ঠিকাদারকে বলেছি, পানি নামার ড্রেন করে দেওয়ার জন্য। তাদের বিল আটকা আছে, কাজ বুঝে নিয়েই বিল পরিশোধ করব।
সূত্রঃ ইন্টারনেট